কুমিল্লা জেলার ইতিহাস
কুমিল্লার নামকরণ নিয়ে অনেক প্রচলিত লোককথা আছে। হযরত শাহ জামাল (রহ.) ইসলাম প্রচার করতে এসে এই স্থানের মাটির সঙ্গে তার মামার প্রদত্ত মাটির মিল দেখতে পেয়ে ‘কোহমিলা’ (কাঙ্ক্ষিত পাহাড়) বলে চিৎকার করেন। ‘কোহমিলা’ থেকে কালপরম্পরায় কুমিল্লা নামটির উদ্ভব।
চীনদেশের পরিব্রাজক ওয়ান চোয়াং এখানে ভ্রমণের বিষয়ে নিজের মাতৃমাষায় লিখতে গিয়ে ‘কিয়ামলঙ্কিয়া’ নামের একটি জনপদের কথা উল্লেখ করেন। পণ্ডিতদের অনুমান, উচ্চারণাঞ্চলিক কারণে তা ‘কমলাঙ্ক’ ও পরে ‘কুমিল্লা’ রূপ ধারণ করেছে।
দেব ও চন্দ্রবংশীয় রাজা পূর্ণচন্দ্র লালমাই পাহাড়ে একটি রাজ্যের পত্তন করেছিলেন। এটি বর্তমান কুমিল্লার নিকটবর্তী। এভাবে দ্রুপিয়ান কলিংসও একসময় কামালঙ্ক নামে একটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ধারণা করা হয়, কামালঙ্ক থেকেই কুমিল্লা নামটির উৎপত্তি হয়েছে। শোনা যায়, কুমিল্ল নামক একজন শাসকের নামানুসারে এখানকার নাম কুমিল্লা হয়।
এমনও লোককথা আছে, জনৈক ‘করিমুল্লা’ নামে একজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তি পাড়াগ্রামে থাকতেন। তিনি ছিলেন সেখানকার অধিনায়ক। তৎকালীন শাসন কাঠামোয় পদ সোপান প্রণালীতে এটি ছিল সর্বোচ্চ ক্ষমতা ও সম্মানজনক। ধারণা করা হয়, তিনি নিজের নামানুসারে পাড়াগ্রামের নামকরণ করেন ‘কুমিল্লা’। আরেকটি উপকথার মাধ্যমে জানা যায়, এ অঞ্চলে টিপরা (পরে উচ্চারণ পরম্পরায় ত্রিপুরা হয়) রাজার স্ত্রীর নাম ছিল কমলা। কুমিল্লা শব্দটি উৎপত্তির মূল বা মা-শব্দ এই ‘কমলা’।
দেবিদ্বার উপজেলার ইতিহাস
এ উপজেলার নামকরণ নিয়ে তিনটি ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার ভাটটুরিয়ার দেবীকোটের রাজ পরিবারের ভ্রাতৃকলহে বানরাজা এ অঞ্চলে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বানরাজা ‘দেবীকোট’ থেকে আসায় দেবীকোটের নামানুসারে কালক্রমে দেবীকোট থেকে আজকের দেবিদ্বারের নামকরণ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে ভিন্ন কথাও রয়েছে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে বৃটিশ শাসনামলে বৃটিশ ক্যাপ্টেন জন ডেভিড ত্রীপুরার চিতনা নামক স্থান থেকে একটি নৌবহর নিয়ে গোমতী নদী পথে ঢাকা যাওয়ার সময় বর্তমান দেবিদ্বারের ভিংলাবাড়ি নামক স্থানে বানরাজার সৈন্যদের সাথে ক্যাপ্টেন ডেভিড তার সৈন্যদের নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় এ যুদ্ধের নাম ডেভিড ওয়ার (ডেভিড যুদ্ধ) নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে ওই নামানুসারে ডেভিড ওয়ার থেকে আজকের দেবিদ্বার নামে পরিচিতি লাভ করে।
৩য় মতাদর্শীদের মতে যতদূর জানা যায় এ উপজেলা সদরে বহু দেব-দেবীর পূজা অর্চনা হতো। ফলশ্রম্নতিতে এ উপজেলার নামকরণ হয় দেবিদ্বার।
বরুড়া উপজেলার পটভূমি
এ অঞ্চলের সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ওপর বিষদ আলোচনা করে দেখেন এ অঞ্চলে অধিকাংশ স্থানে পান চাষ করা হচ্ছে ( যা এখনো বিদ্যমান)। যারা পান চাষ কের তাদেরকে বারই বলে এবং পান চাষকৃত জমিকে (বরজ) অাঞ্চলিক ভাষায় বর বলা হয়। নেতৃবৃন্দ ধর্মীয় প্রভাব এবং সংস্কৃতিক ঐতিহ্য এ দুটি বিষয়কে সমন্বয় করে নতুন থানার একটি নাম করণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারি ধারাবাহিকতায় ধর্মীয় ঐতিহ্যের বড়ুয়া এর দ্বিতীয় শব্দাংশের ”ড়ুয়া” এবং সংস্কৃতিক ঐতিহ্যের “বর” অর্থাৎ বর+উ+র+আ= “বরুড়া” নামকরণ করে চান্দিনার দক্ষিন অংশের নতুন থানার নামকরণ করেণ।
ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলার নামকরণ ইতিহাস
মোঘল আমলে (সম্ভবত বাদশাহ শাহ আলমের শাসনামলে) কালিদাহ সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সতের শতকের গোড়ার দিকে এ নিম্নাঞ্চলে ঘুংঘুর নদীর পূর্ব তীরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর নীল বেনিয়ারা নামক একজন ইংরেজ বর্তমান উপজেলা সদরের এক কিলোমিটার দক্ষিণে বলদা (সাহেবাবাদ) মৌজার এক উচু স্থানে ব্যবসায়িক কুঠি স্থাপন করেন। কোম্পানীর হিসাব রক্ষণের জন্য বারা নসী কাশি মুন্সি নামক একজন কান্যকুট ব্রাহ্মণ হিসাব রক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ব্রাহ্মণ মহাশয়ের বসতি স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই কোম্পানীর খাতায় এ স্থানের নাম ব্রাহ্মণপাড়া হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। আর তখন থেকেই বর্তমান ব্রাহ্মণপাড়া নামের আত্মপ্রকাশ হয়।
চান্দিনা উপজেলার নামকরণ পটভূমি
প্রচিীনকালে এ স্থানের নাম ছিল ‘বরকামতা’। এ স্থানটি জঙ্গলাকীর্ণ ছিল বলে বাঘের ভয়ে সবাই আতঙ্কগ্রস্থ থাকতো। সুবাদার হোসেন আলী খাঁ তাঁর মহলের সম্মুখে বাঘকে ভয় দেখানের জন্য একটি উঁচু স্থানে উজ্জ্বল গ্যাসের বাতি জ্বলাতেন। তখন হতে লোকজন এ স্থানটিকে ‘চাঁদনী’ বা ‘চাঁদের আলোর মতো স্থান’ বলে আখ্যায়িত করতো। পরবর্তীতে ইংরেজ শাসনামলে নীলকুঠির সাহেবরা ইংরেজিতে এ স্থানকে চান্দিনা বলে লিপিবদ্ধ করে। সে থেকেই চান্দিনা নামককরণ হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পটভূমি
তৎকালীন সময়ে খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চল গুলোকে পরগণা বলে অবহিত করা হতো। চৌদ্দগ্রামেও একাটি পরগণার সদর দপ্তর ছিল। এই পরগণাটি চৌদ্দটি গ্রাম নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ছিল বলে এর নামকরণ হয় চৌদ্দগ্রাম। পরবর্তীতে যখন ১৯০৫ সালে থানা প্রতিষ্ঠিত হয় তখন কেন্দ্রের নাম অনুসারে পুরো থানার নামকরণ করা হয় চৌদ্দগ্রাম।
দাউদকান্দির ইতিহাস
১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে সোলেমান কররানী বংগদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন এবং সম্রাট আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে তাঁর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেন। সোলেমান কররাণীর মৃত্যুর পর তার কনিষ্ঠ পুত্র দাউদকাররাণী সম্রাট আকবরের কর্তৃত্ব অস্বীকার করে নিজের সামাংকিত মুদ্রা চালু করেন এবং নিজেকে বংগদেশের শাসনকর্তা ঘোষনা করেন। ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে জুলাই মাসে সম্রাট আকবরের সাথে এক যুদ্ধে দাউদকাররাণী নিহত হন। কথিত আছে দাউদকাররাণীর নামানুসারেই দাউদকান্দির নামকরণ করা হয়।
হোমনার ইতিহাস
কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণীঃ ১৯০৫ সালে দাউদকান্দি থানা বিভক্ত হয়ে হোমনা থানা গঠিত হয়। ১৯৮৪ সালে হোমনা খানা উপজেলায় উন্নীত হয়। ২০০১ সালে মেঘনা উপজেলা সৃষ্টির জন্য হোমনা উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন (চালিভাঙ্গা,চন্দনপুর,মানিকারচর ও রাধানগর ইউনিয়ন) মেঘনা উপজেলার সাথে সংযুক্ত হয়। বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে হোমনা উপজেলা গঠিত।
লাকসাম এর ইতিহাস
লাকসাম নামকরণ উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন ধরণের মতামত রয়েছে। মনে করা হয় যে, এ এলাকায় লাখ লাখ শামছ এর আবাসস্থল ছিল বিধায় এর নামকরণ হয়েছে লাকসাম। শামছ আরবী শব্দ এবং এর অর্থ সূর্য্য, সূর্য্য আওলীয় দরবেশদেরকে বুঝাত। তাই বলা যায় লাখ লাখ শামছ হতেই লাকসাম নামের উৎপত্তি হয়েছে। আরো প্রবাদ রয়েছে যে, এ অঞ্চলে অসংখ্য ধনাট্য ব্যক্তির প্রভাব প্রতিপত্তির দরুনই লাকসাম নামকরণ করা হয়েছে। কিংবদন্তী রয়েছে যে, লাখ লাখ ’’শ্যাম’’ বা গোপীনি তথা সখি নিয়ে এ অঞ্চলে কেলী করত বলেই এ স্থানের নাম লাকশ্যাম থেকে লাকসাম হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলার পটভূমি
মুরাদনগর উপজেলা ১৮৫৮ সালে প্রথম থানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সে সময়ে এ থানার নাম ছিল থোরলা। ১৮৭৮ সালে এর পুন: নাম করণ করা হয় মুরাদনগর। মুরাদনগর উপজেলার নামকরণ সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়না। তবে জনশ্রুতি আছে যে, মোগল সম্রাট শাহ্ জাহানের কনিষ্ঠ পুত্র মুরাদ কোন এক সময়ে এ এলাকায় এসেছিলেন। সে অনুসারে এ এলাকার নামকরণ মুরাদনগর করা হয়েছে। এছাড়া অনেকের মতে, মুরাদনগর মূলত: মির মুরাদ আলীর নাম অনুসারে হয়, যিনি ছিলেন তৎকালীন বৃটিশ শাসনের একজন রেভিনিউ কালেক্টর। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত মুরাদনগর উপজেলার পরিচয় পাওয়া যায় কবি রচিত নিচের গানে-
“উপল নুড়ি কাঁকন চুড়ি বাজে
বাজ ঘুমতি নদীর জলে।”
নাঙ্গলকোট উপজেলার পটভুমি
কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলা ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯৮৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠা হয়।এখানে উপজেলা প্রতিষ্ঠার পূর্বে নাঙ্গলকোট ইউনিয়ন ছিল।পরবর্তীতে এটিকে উপজেলায় পরিণত করা হয়।
আদর্শ সদর উপজেলার নামকরণ
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরবর্তী সময়ে ১৯৬০ সালে ত্রিপুরা জেলার নামকরণ করা হয় কুমিল্লা। ১৯৮৪ সালে উপজেলা পদ্ধতি চালু হলে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসিনক ইউনিট হিসেবে আদর্শ সদর উপজেলা সরকারী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নপূর্বক জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এ উপজেলার দক্ষিণ ভাগের কিছু অংশ নিয়ে সদর দক্ষিণ নামে একটি নতুন উপজেলা সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন আন্দোলনের সাথে এ উপজেলার সম্পৃক্ততার ইতিহাস খুবই সমৃদ্ধ। ১৭৬৪ সালে সমশের গাজীর নেতৃত্বে সংঘটিত ত্রিপুরার রাজাদের বিরুদ্ধে কৃষক আন্দোলন কুমিল্লার ইতিহাসে উজ্জ্বল ঘটনা। প্রিন্স ওয়ালেসের ভারত ভ্রমণের প্রতিবাদে ২১ শে নভেম্বর ১৯২১ সালে দেশব্যাপী আহুত ধর্মঘটে এ উপজেলাবাসী সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে। সে সময় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এ শহরে অবস্থান করছিলেন এবং তিনি বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা লিখে কুমিল্লার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। গান্ধী অভয়াশ্রম নামের প্রতিষ্ঠানটি এসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আদর্শ সদর উপজেলার জনগণ সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। উপজেলার কয়েকটি স্থানে গণহত্যা সংঘটিত হয় যেমন কোটেস্বর, রসুলপুর ইত্যাদি ।
মেঘনা উপজেলা পটভূমি
মেঘনা একটি নবগঠিত উপজেলা।এই উপজেলাটি ০৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।১৯৯৮ শালের শেষ ভাগে মেঘনাকে উপজেলা হিসাবেগ ঘোষনা করা হয়।ইতিপূর্বে এই উপজেলার ০৪টি ইউনিয়ন দাউদকান্দি উপজেলার এবং০৪টি ইউনিয়ন হোমনা উপজেলার অন্তরগত ছল।যেহেতু এই উপজেলার একপাশে দেশের বৃহত্তম মেঘনা নদী অবসস্থিত সেহেতু এই নদীর নাম অনুসারে প্রস্থাব করা হয় এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মেঘনা নামেই উপজেলার নামকরন করেন।
মনোহরগঞ্জের উপজেলার ইতিহাস
তৎকালীন মেল্লা শহর বর্তমান লাকসামস্থ ঘাগরিয়া খালের পাড়ে অবস্থিত মেল্লারের দিকে খরস্রোতা নদী পথে যেতে ডাকাতিয়া নদী ও ঘাগরিয়া নদীর মোহনায় ব্যবসায়ীদের মনোহরণকারী স্থান হিসেবে মনোহরগঞ্জের নামকরণ হয় মর্মে কথিত আছে। পাট ব্যবসায়ীক কেন্দ্রস্থল মনোহরগঞ্জ পরবর্তীতে গঞ্জে রূপান্তরিত হয় মর্মে অনেকে মনে করেন। কারো-কারো মতে মনোহর নামে একজন মৃৎশিল্প/কুম্বকার এ স্থানে গড়ে তোলে ছিলেন হাড়ি-পাতিলের কারখানা। ব্যবসায়ীরা তার নামকে ঐতিহ্য হিসেবে স্থানের নামকরণ করেন মনোহরগঞ্জ।
সদর দক্ষিন উপজেলার পটভুমি
প্রায় তিনশত বর্গ কিমি আয়তনের এ এলাকায় একক প্রশাসনিক কর্তৃত্বের অভাবে এলাকার উন্নয়ন প্রকল্প নির্বাচন ও বাস্তবায়ন সর্বদা আদর্শ সদর ও লাকসাম উপজেলার দ্বিমুখী প্রশাসনিক সংঘাতের আবর্তে এক জটিল পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছিল, বিশেষতঃ ১৯৮৪ সালে এদেশে উপজেলা পদ্ধতি প্রচলনেরপর থেকে জেলা সদর সংলগ্ন গুরুত্বপুর্ন এ অঞ্চলটি এবং এর জনগন দ্বৈত প্রশাসনিক জটিলতার ঘুর্নিপাক থেকে রেহাই পেতে দাবি জানিয়ে আসছিল একটি স্বতন্ত্র উপজেলা গঠনের।
তিতাসের ইতিহাস
বর্তমান তিতাস উপজেলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সুত্রপাত হয়েছিল প্রায় দু’যুগ পূর্বে। শুরুতে ‘‘ পীর শাহবাজ নগর ’’ থানা এবং পরবর্তীতে উপজেলা প্রতিষ্ঠার দাবী উত্থাপিত হলেও চুড়ান্ত পর্যায়ে এসে বির্তক এড়ানোর জন্য সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন ‘তিতাস’ নামটি প্রস্তাব করেন। একদা বহতা নদী এতদাঞ্চলের কৃষককুলের আর্শিবাদ (বর্তমানে মৃতপ্রায়) এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বুক চিরে প্রবাহমান তিতাসের নামানুসারেই এই উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে ‘‘ তিতাস উপজেলা ’’।
বুড়িচং উপজেলার পটভূমি
বুড়িচং উপজেলার পূর্বনাম ছিল উত্তর বিজয়পুর। কিংবদমত্মী অনুসারে খৃষ্টীয় একাদশ শতকের গোড়ার দিকে এই উত্তর বিজয়পুর গ্রামে বহু জ্ঞানী -গুনীর আবাসস্থল ছিল। একাদশ শতকের দিকে চৈনিক পরি ব্রাজক ‘‘ইয়েন সাং’’ উত্তর বিজয়পুর পরিদর্শণ করতে আসেন এবং এলাকার জ্ঞানী-গুনীদের সাহচর্যে মুগ্ধ হন। ঐ সময় এ এলাকাকে ‘‘বুড্ডি চিয়াং’’ নামে অভিহিত করেন।
লালমাই উপজেলার পটভূমি
কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড়ের নামে এ উপজেলার নামকরণ করা হয়েছে।[
তথ্যসুত্র// উইকিপিডিয়া, জেলা তথ্য বাতায়ন, বাংলাট্রিবিউন,