কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাকে বলে?
যে ব্যাংক সরকারের একক ব্যাংক হিসাবে দেশের জন্য মুদ্রা প্রচলন করে, ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মূদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখার মাধ্যমে সরকারের আর্থিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করে, তাকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলা হয়।
অধ্যাপক আর. সি কেন্ট এর মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা জনকল্যাণের প্রয়োজন অনুযায়ী দেশের প্রচলিত মুদ্রার / অর্থের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
অধ্যাপক এম. এইচ, ডী কক বলেন, যে ব্যাংক ব্যবস্থায় একটি মাত্র ব্যাংকের নোট ইস্যুর ক্ষেত্রে একক বা আংশিক একচেটিয়া অধিকার রয়েছে, তাই হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি আরো বলেন মুনাফার প্রতি দৃষ্টি না রেখে জনসাধারণের স্বার্থে এবং দেশের সার্বিক সমৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালানোই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ। অধ্যাপক কিসচ এবং এলকিনের মতে, যে ব্যাংকের অপরিহার্য দায়িত্ব হলো দেশের মুদ্রা-মান স্থিতিশীল রাখা, তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলে।
অধ্যাপক আর. এস. সেয়ার্স বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো সরকারের একটি প্রতিষ্টান, যা সরকারের অধিকাংশ আর্থিক কার্যাবলী সম্পাদন করে এবং উক্ত কার্যাবলী সম্পাদনকালে এবং বিভিন্ন পন্থায় ইহা দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যাবলীর উপর প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে সরকারের অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন করে।
পি.এইচ. কলিন এর মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো দেশের সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন প্রধান ব্যাংক, যা দেশের আর্থিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশের প্রধান সুদের হার নির্ধারণ করে, নোট ও মুদ্রার প্রচলন করে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তত্ত্বাবধান করে এবং বৈদেশিক বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করে।
মোট কথা কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের প্রধান সরকারী ব্যাংক। যা দেশের মুদ্রা ও ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মুদ্রা বাজার স্থিতিশীল রাখার মাধ্যমে সরকারের আর্থিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করে। ইহার মুল উদ্দেশ্যই হলো সার্বিক জনকল্যাণ। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো:
জনকল্যাণ, মুদ্রা প্রচলন, ঋণ নিয়ন্ত্রণ, মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা রক্ষা, অর্থ ও মূলধন বাজার গঠন ও পরিচালনা, ব্যাংক ব্যবস্থা সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ, নিকাশ ঘর হিসেবে দায়িত্ব পালন, মুদ্রার বিনিময় হার এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের বিকাশ ইত্যাদি। বিষয়বস্তু সংজ্ঞা: এক কথায় দেশের প্রধান ব্যাংকই হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আধুনিক বিশ্বে যেকোন দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একক নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচিত এবং স্বীকৃত। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কেন্দ্র করেই দেশের সকল ব্যাংকিং ও মূদ্রা বাজার গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। দেশের সার্বিক প্রয়োজনে নোট ও মূদ্রা প্রচলন, ঋণ নিয়ন্ত্রণ ও মূদ্রা বাজার গঠন ও পরিচালনা, দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার নেতৃত্বদান, সরকারের ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের স্থিরতা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সার্বিক জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠিত, পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশ্য:
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত দেশের সর্বপ্রধান ব্যাংক। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের মাধ্যমে জনগণের কল্যাণ সাধনই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য। মূল উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য ইহাকে বেশ কিছু সহযোগী উদ্দেশ্য অর্জন করতে হয়। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশ্যকে আমরা নিম্নরূপে আলোচনা করতে পারি?
১. জনকল্যাণ ও মুনাফা অর্জন নয় বরং ইহার মূল/ প্রধান উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ নিশ্চিত করা।
২. মুদ্রা প্রচলন : দেশের অভ্যন্তরে চাহিদার আলোকে লেনদেনের বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ধাতব মুদ্রা ও কাগজী নোট প্রচলন করার উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থার উদ্ভব।
৩. ঋণ নিয়ন্ত্রণঃ বাণিজ্যিক ব্যাংকের বর্ধিত ঋণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অর্থ বাজার স্থিতিশীল রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অপর একটি গুরুত্ব উদ্দেশ্য।
৪. মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা রক্ষা : দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থের যোগান ও সুদের হার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মূল্যস্তরের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম উদ্দেশ্য।
৫. অর্থ ও মূলধন বাজার গঠন ও পরিচালনা: দেশের অর্থনৈতিক কার্যাবলীকে ত্বরান্বিত ও গতিশীল করার জন্য দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী ও শৃক্মখলাপূর্ণ অর্থ ও মূলধন বাজার গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠিত ও পরিচালিত হয়।
৬. ব্যাংক ব্যবস্থা সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ : একটি সুসংহত এবং শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকে সংগঠন, পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
সরকারের ব্যাংক হিসেবে কাজ করা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের তহবিল সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন নিয়তি করে থাকে। মোট কথা সরকারের অর্থ আদায়, পরিশোধ ও সংরক্ষণে ইহা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে।
৮. ব্যাংকের ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালনঃ তালিকাভুক্ত অপারাপর ব্যাংকের ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্যে অন্যান্য ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কতিপয় শর্ত পালন করতে হয়।
৯. নিকাশ ঘরের দায়িত্ব পালনঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের আন্তঃ ব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিত্তির লক্ষে নিকাশ ঘরের দায়িত্ব পালন করে। ফলে আন্তঃব্যাংকিং ক্ষেত্রে চেক, ড্রাফট, বিনিময় বিল, সিকিউরিটি, ঋণ-পত্রে ইত্যাদির বিনিময় সংক্রান্ত নিত্তি সহজ হয়।
১০. মূলধন গঠন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন: দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদান করে মূলধনের যোগান দিয়ে থাকে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণদান ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন করে।
১১. মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণঃ বৈদেশিক বাণিজ্যের উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যাবলীর মধ্যে রয়েছে:
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো ‘বাংলাদেশ ব্যাংক‘।
১. জাতীয় স্বার্থে উৎপাদনশীল সম্পদসমূহের প্রবৃদ্ধি ও ঋণোন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ মুদ্রার মান স্থিতিশীল রাখা এবং টাকার বৈদেশিক বিনিময় হার ধরে রাখার উদ্দেশ্যে মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;
২. দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন;
৩. মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি ও কার্যক্রম গ্রহণ। যেমন: ক. খোলা বাজার কার্যক্রম (ট্রেজারি বিল/বন্ড, রিপো, রিভার্স রিপো নিলাম), খ. রিজার্ভ অনুপাতের পরিবর্তন যেমন নগদ জমা সংরক্ষণ আবশ্যকতা (CRR) এবং বিধিবদ্ধ তরল সম্পদ সংরক্ষণ আবশ্যকতার (SLR) হার পরিবর্তন, গ. সেকেন্ডারি ট্রেডিং, ঘ. পুনঃবাট্টার হার/ব্যাংক হার পরিবর্তন ঙ. নৈতিক নিয়ন্ত্রণ;
৪. দেশের ব্যাংকিং খাতের নিরাপত্তা, সুষ্ঠুতা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে এবং ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা, গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তাদের আস্থা ধরে রাখার উদ্দেশ্যে সরেজমিন পরিদর্শন এবং রিপোর্ট ভিত্তিক/দূর অবস্থানিক পরিবীক্ষণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান;
৫. স্বর্ণ, বৈদেশিক বিনিময়, এসডিআর এবং আইএমএফ-এ সংরক্ষিত মজুদ দ্বারা নিরূপিত বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি ব্যবস্থাপনা;
৬. বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে এককভাবে ব্যাংক নোট ইস্যু;
৭. বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের পারস্পরিক নিরূপিত চেক, ড্রাফট, বিল ইত্যাদি দ্বারা সৃষ্ট আন্তঃব্যাংক পরিশোধ নিষ্পত্তিতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহের জন্য নিকাশ ঘর হিসেবে দায়িত্ব পালন;
৮. সরকারের ব্যাংক হিসেবে দায়িত্ব পালন;
৯. দেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংকসমূহ এবং সরকারের জন্য ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল;
১০. মুদ্রা ও ব্যাংকিং বিষয়ে সরকারের পরামর্শদাতা হিসেবে দায়িত্ব পালন; এবং
১১. জাতীয় স্বার্থে প্রবৃদ্ধি সহায়ক কর্মসূচি পরিচালনা।
এর বাইরেও বাংলাদেশ ব্যাংক আরো অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করে যেমন: নতুন নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট প্রচলন; মুদ্রা ও আর্থিক বাজারে অংশগ্রহণকারীদের জন্য গাইডলাইন প্রণয়ন; ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের দ্বারা সম্পাদিত সামাজিক দায়বদ্ধতার কাজ পরিবীক্ষণ করা এবং এ ব্যাপারে তাদেরকে উৎসাহিত করা।
বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ ১৯৭২-এর ৭এ ধারা বলে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অফিশিয়াল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে থাকে। বেশিরভাগ বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হারের উঠানামা এবং বিশ্ব মুদ্রাবাজারের সুদের হারের অনিয়মিত উঠানামার ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি হ্রাসের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন মুদ্রায় এর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে নস্ট্রো হিসাব পরিচালনা করে। এসব হিসাবে (ধপপড়ঁহঃ) সংরক্ষিত ফান্ড স্ব স্ব দেশের মুদ্রায় ট্রেজারি বিল, রেপো এবং সরকারি অন্যান্য ইনস্ট্রুমেন্টে বিনিয়োগ করা হয়। এছাড়া, বিভিন্ন উচ্চমানের স্বনামধন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের উচ্চ সুদহার সম্পন্ন আমানতে স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগকরে এবং উচ্চআয়ের সভরেন/কর্পোরেট বন্ড ক্রয় করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট বিনিয়োগ সংক্রান্ত এসব কার্যক্রম পরিচালনা করে যা বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিয়োগ কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত বিনিয়োগ নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়। বিনিয়োগ নীতির অন্তর্নিহিত নীতি হল সর্বনিম্ন ঝুঁকিতে সর্বোচ্চ আয় নিশ্চিত করা।
প্রচলিত ও অপ্রচলিত বিভিন্ন পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য ব্যবস্থাপনা/ঋণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আরোপ করে। ব্যাংক হার ও খোলা বাজার কার্যক্রম ছাড়া প্রায়শই ব্যবহৃত অন্য একটি পদ্ধতি হচ্ছে ন্যূনতম সঞ্চিতি হারের হ্রাসবৃদ্ধি। দেশীয় মুদ্রার আন্তর্জাতিক বিনিময় স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিময় ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে, দেশে যত বিদেশি মুদ্রা আসে তা সবই যাতে হিসাবে অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং অনুমোদিত ডিলারদের নিকট জমা পড়ে তা নিশ্চিত করে। সরকারের নীতিগত অগ্রাধিকার বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বরাদ্দ দেয়। স্বর্ণের সঞ্চিতি, নগদ বৈদেশিক মুদ্রা, এসডিআর এবং আইএমএফ সঞ্চিতি এসব মিলিয়ে দেশের মোট আন্তর্জাতিক সঞ্চিতি ও তার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর অর্পিত। বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ, এশীয় ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অর্থ ও মুদ্রা সংস্থায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে।
বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম:
তাইওয়ান — সেন্ট্রাল ব্যাংক অব চায়না
মঙ্গোলিয়া — মঙ্গোল ব্যাংক
জাপান — ব্যাংক অব জাপান
ইরান — ব্যাংক মারকাজি জমহুরী ইসলামী ইরান
ইরাক — সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইরাক
ইসরাইল — ব্যাংক অব ইসরাইল
জর্দান — সেন্ট্রাল ব্যাংক অব জর্দান
তুরস্ক — সেন্ট্রাল ব্যাংক অব দি রিপাবলিক অব তুরস্ক
কুয়েত — সেন্ট্রাল ব্যাংক অব কুয়েত
ইতালী — ব্যাংক অব ইতালী
নেদারল্যান্ড — দি নেদারল্যান্ড ব্যাংক
নরওয়ে — ব্যাংক অব নরওয়ে
পর্তুগাল — ব্যাংক অব পর্তুগাল
স্পেন — ব্যাংক অব স্পেন
বাংলাদেশ — ব্যাংলাদেশ ব্যাংক
ভারত — রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
পাকিস্তান — স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান
শ্রীলংকা — সেন্ট্রাল ব্যাংক অব শ্রীলংকা
ভুটান — রয়্যাল মনিটরী অথরিটি অব ভুটান
মালদ্বীপ — মালদ্বীপ মনিটরী অথরিটি
নেপাল — নেপাল রাষ্ট্র ব্যাংক
লেবানন — ব্যাংক অব লেবানন
ওমান — সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ওমান
কাতার — কাতার মনিটরী এজেন্সি
সৌদি আরব — সৌদি আরব মনিটরী এজেন্সি
সিরিয়া — সেন্ট্রাল ব্যাংক অব সিরিয়া
আফগানিস্তান — দি আফগানিস্তান ব্যাংক
মায়ানমার — মায়ানমার ব্যাংক
চীন — পিপলস্ ব্যাংক অব চায়না
থাইল্যান্ড — ব্যাংক অব থাইল্যান্ড
ইন্দোনেশিয়া — ব্যাংক অব ইন্দোনেশিয়া
সাইপ্রাস — সেন্ট্রাল ব্যাংক অব সাইপ্রাস
দঃ কোরিয়া — ব্যাংক অব কোরিয়া
মালয়েশিয়া — ব্যাংক নেগারা মালয়েশিয়া